মোদী ও মমতার ৬ ধরনের কার্ড চালু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। আপনি যেকোন ধরনের কার্ড বানিয়ে প্রচুর সুবিধা পেতে পারেন। এখানে পশ্চিমবঙ্গের সাধারন জনগন থেকে শুরু করে, ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী সবার জন্য কোনো না কোনো কার্ড রয়েছে।
চলুন জেনে নিই, কোন কোন কার্ড রয়েছে? কারা কারা আবেদন করতে পারবেন? কিভাবে আবেদন করবেন? ইত্যাদি। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি ভালো করে পড়ুন।
ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড
পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিম হল পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজের ব্যবসায়িক প্রকল্পের উন্নতি সাধন ও আর্থিক সহায়তার জন্য ম্যাক্সিমাম পাঁচ লক্ষ টাকার লোন দেওয়ার সুব্যবস্থা করেছেন। এই পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিম এর মাধ্যমে প্রত্যেক বছর 2 লক্ষ যুবকেরা সুবিধা পাবে। এই লোনের একটি প্রধান সুবিধা হল সরকার নিজেই ২৫ হাজার টাকা ভুর্তকি দেবেন।
কারা সুবিধা পাবে – পশ্চিমবঙ্গের ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত যুব সমাজ
উদ্দেশ্য – ব্যবসাতে আর্থিক সহায়তা ও কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটানো
সর্বাধিক লোনের পরিমাণ – ৫ লাখ টাকা
আয়ুষ্মান ভারত
ভারতের দরিদ্রতম নাগরিকদের জন্য, এই আয়ুষ্মান ভারত গোল্ডেন কার্ড তাদের 5 লক্ষ টাকার হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে দেয়। তবে যারা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার যোগ্য তারা শুধুমাত্র নির্ধারিত সুবিধায় এটি পেতে পারেন। আয়ুষ্মান ভারত-এর জন্য আবেদনকারীদের 5 লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা পাওয়ার আগে আয়ুষ্মান ভারত পরিকল্পনা তালিকার বিরুদ্ধে তাদের নাম যাচাই করতে হবে।
সুবিধা –
• সাইকিয়াট্রিক থেরাপি
• জরুরী যত্ন এবং বয়স্ক রোগীদের সুবিধা
• প্রসব এবং প্রসবের সময় মহিলাদের জন্য উপলব্ধ সমস্ত সুবিধা এবং থেরাপি
• দাঁতের স্বাস্থ্য
• শিশুর জন্য ব্যাপক চিকিৎসা
• বয়স্ক, শিশু এবং মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হয়।
• যে মহিলারা প্রসব করেন তারা 9000 টাকা পর্যন্ত ছাড় পান।
• নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্যের জন্য পরিষেবা
কারা সুবিধা পাবে – মহিলারা আবেদন করতে পারবে যাদের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার কম।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড
স্বাস্থ্যসাথী একটি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প। ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্কিম চালু করেছিলেন। রাজ্য সরকারের এই স্কিমের অধীনে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার কভার পায়। পরিবারের মহিলা সদস্যার নামে একটি স্মার্ট কার্ড (Swasthya Sathi Smart Card)জারি করা হয়, যা দিয়ে নগদহীন চিকিৎসা করা যায়। অর্থাৎ এই কার্ড থাকলে কোনও টাকা দিতে হয় না হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে। পরিবারের সদস্য সংখ্যার কোনও সীমা নেই। বাড়ির বউদের বাবা-মায়েরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পান।
সুবিধা –
Swasthya Sathi card থাকলে আপনারা 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত benifit পাবেন, হসপিটালে যতদিন আপনি ভর্তি থাকবেন ততদিন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে আপনি মেডিসিন ফেসিলিটি গুলো পাবেন ফ্রিতে।
BPL রেশন কার্ড
সুবিধা –
ফ্রি রেশন, এই কার্ড পরিবারের আর্থিক অবস্থান নির্ণয় করে ফলে রাজ্য এবং
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সুযোগ সুবিধা নির্ভর করে এই কার্ডের উপর।
রেশন কার্ডের ভাগ –
পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসারে মোট পাঁচ ধরনের রেশন কার্ড রয়েছে। আর এই পাঁচ প্রকার রেশন কার্ড হলো: SPHH, PHH, AAY, RKSY-1, RKSY-2, । পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণ এই সমস্ত রেশন কার্ডের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করেই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে রেশনে বিভিন্ন পরিমাণ খাদ্যশস্য যেমন চাল, গম, আটা,ও চিনি পেয়ে থাকেন।
কিষান ক্রেডিট কার্ড
কৃষকদের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার বিগত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু নতুন নতুন প্রকল্প চালু করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (Kisan Credit Card)। এই প্রকল্পের অধীনে একজন ঋণগ্রাহক ১.৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই পেতে পারেন। এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সঙ্গে যুক্ত। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের অধীনে কৃষকরা বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। এদিকে কৃষকরা যদি সময়মতো ঋণ পরিশোধ করলে তিন শতাংশ ছাড় পাবেন। অর্থাৎ, কার্যত মাত্র ৪ শতাংশ হারে ঋণ পাবেন কৃষকরা।
ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা –
• ঋণগ্রহীতার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭৫ বছর হতে হবে
• কৃষকের নিজস্ব জমি থাকতে হবে
• গোষ্ঠীঋণও পাওয়া যায়
• ভাগচাষী, ভাড়াটিয়া কৃষক বা মৌখিক ঠিকা চাষিরাও KCC এর মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য।
• স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG) বা যৌথ দায়বদ্ধতা গোষ্ঠীও (JLG) ঋণ পাবে