Seed and Fertilizer License: আপনি যদি সার ও বীজের দোকান খুলতে চান তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন আপনার পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন কেউ যদি সার ও বীজের দোকান খুলতে চান তাহলে তা খোলার জন্য তাকে কৃষি বিভাগে যেতে হবে না। ওই ব্যক্তি কৃষি বিভাগের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করে লাইসেন্স পেতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে এই লাইসেন্স কিভাবে নিতে হবে, কত খরচ পরবে ইত্যাদি বিষয়গুলি তুলে ধরব।
কিভাবে সারের ব্যবসা শুরু করবেন?
আপনি প্রধানত আপনার গ্রাম থেকেও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়। এই ব্যবসার জন্য আপনাকে প্রথমে কৃষি বিভাগ থেকে সার বিতরণের লাইসেন্স নিতে হবে। এর পরে, আপনি আপনার ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য একটি জায়গা বেছে নিতে হবে, যেখানে চাষবাস করা হয় বা যেখানে কৃষক বেশি। আপনি বাজারের জায়গাও বেছে নিতে পারেন। ফসলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ফসলে রোগ প্রতিরোধ পর্যন্ত সকল সার ও কীটনাশক সার দোকানে রাখতে হবে।
সারের ব্যবসা শুরু করলে সার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, কোন ফসলের জন্য কোন মৌসুমে সার উপযুক্ত। গ্রামাঞ্চলে সারের দোকান খুললে বেশি লাভ পাবেন। কারণ সেখানকার মানুষের কাছে ফসল ও মাটি সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য নেই, যার জন্য তারা তাদের নিকটস্থ সারের দোকান থেকে তারা তাদের মাটি অনুযায়ী সার কিনে থাকেন।
দোকান খুলতে কেমন খরচ হবে?
প্রারম্ভিক সময়ে, আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী একটি ছোট সারের দোকান খুলতে পারেন । একটি সারের দোকান খুলতে আপনার কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগবে। একবার আপনার ব্যবসা ভালভাবে চলতে থাকলে, আপনি এই ব্যবসা থেকে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ পাবেন। আপনি সার ব্যবসা খুলতে সরকারী ঋণও নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে হবে। যেখানে আপনাকে সার ব্যবসার ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
লাইসেন্স নিতে কত খরচ হবে?
১) সারের ব্যবসার জন্য রিটেইল লাইসেন্স নেওয়ার খরচ ১২৫০ টাকা।
২) যদি আপনি হোলসেল লাইসেন্স নিতে চান তবে আপনাকে খরচ করতে হবে ২২৫০ টাকা।
৩) সারের ব্যবসার জন্য সেলস লাইসেন্স নেওয়ার খরচ হল ১০০০ টাকা।
৪) আপনার যদি আগে লাইসেন্স নেওয় থাকে এবং যদি বর্তমানে লাইসেন্স রিনিউ করতে চান তবে আপনাকে খরচ করতে হবে ৫০০টাকা।
লাইসেন্স কিভাবে নেবেন?
১) লাইসেন্স পেতে গেলে আপনাকে নিজের আধার কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কৃষি দপ্তরের যে DBT পোর্টাল সেই পোর্টালে গিয়ে এই আধার কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হবে৷
২) এরপর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের সমস্ত তথ্য দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম জমা করতে হবে। অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক প্রতিবেদনের নীচে দেওয়া আছে।
৩) সমস্ত ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
৪) এরপর সেই সমস্ত তথ্যের হার্ড কপি জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট অফিসে।
৫) এরপর দপ্তরের তরফ থেকে কাজ শুরু করা হবে।
৬) এর ঠিক এক মাস পর আবেদনকারী লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
Important Links:
Apply For License | Click Here |
Whatsapp Group | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
Chakrir Khabor 24/7 App | Download |