Seba Sokhi Prakalpo: প্রত্যেক ব্লকে ২০ জনের চাকরি, মমতার নতুন প্রকল্প ‘সেবা সখি’

0
31
Seba Sokhi Prakalpa

Seba Sokhi Prakalpo: রাজ্যের অশক্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং শয্যাশায়ী রোগীদের পাশে দাঁড়াতে একটি অভিনব প্রকল্প চালু করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে সেবা সখি প্রকল্প ।

 

সারা দেশের মধ্যে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের সরকারি উদ্যোগে মেয়েদের প্রশিক্ষিত করে সেবা কর্মী হিসেবে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে , পুজোর পরেই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে রাজ্যের চারটে ব্লকের এই প্রকল্প চালু করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে গ্রামীণ জীবিকা মিশন এর আওতায় এবং আনন্দধারা কর্মসূচি সেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ,

দপ্তর সূত্রে খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে প্রথম পর্যায় এই প্রকল্প দক্ষিণ 24 পরগনার বারাইপুর , এবং তারপর উত্তর 24 পরগনা জেলার রাজারহাট , পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া , এবং হাওড়া আমতা ব্লকে , এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে।

প্রথম পর্বে এই চারটি ব্লকের একেকটি ব্লকের কুড়ি জন মহিলাকে বেছে নিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

 

কি ধরনের কাজ করতে হবে?

এক মাসের এই প্রশিক্ষণে মহিলাদের প্রাথমিক চিকিৎসা , ওষুধ পত্র সম্পর্কে ধারণা , ব্লাড প্রেসার , হূদরোগ , ডায়াবেটিস এর মত সাধারন বয়স্কদের মধ্যে যে না শারীরিক সমস্যায় প্রয়োজনীয় সেবা যত্ন সম্পর্কে তাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ।

 

এই প্রকল্পে কারা কাজ পাবে? 

জানা যাচ্ছে শহর লাগোয়া যে সমস্ত গ্রামগুলি রয়েছে সে সমস্ত গ্রামবাসী থেকেই এই কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে কারণ শহরাঞ্চলে একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যায তুলনায় অনেক বেশি এবং যাদের যত্ন নেওয়ার কেউ নেই ।

সেই জন্যই শহর লাগোয়া যে সমস্ত গ্রামগুলো আছে সেখান থেকেই মেয়েদেরকে এই চাকরীর সুযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা সহজেই শহরে গিয়ে তাদের কাজকর্ম করতে পারেন ।

 

বেতন কত পাওয়া যাবে? 

সেবা সখি প্রকল্পে কোন মাসিক বেতনের ব্যবস্থা নেই তবে এই প্রকল্পে যে সমস্ত মহিলারা যুক্ত হবেন সেই সমস্ত সেবা কর্মীদের গ্রাম অঞ্চলে প্রতিদিন 255 টাকা এবং শহরাঞ্চলে প্রতিদিন 300 টাকা করে পারিশ্রমিক ধার্য করা হয়েছে ।

See also  চালু হচ্ছে নতুন প্রকল্প "দুয়ারে শাড়ি প্রকল্প"! কি কি সুবিধা পাবেন?

ধারণা করা যাচ্ছে এই প্রকল্প চালু হলে একদিকে যেমন শহরাঞ্চলের একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবেন ঠিক তেমনই গ্রামাঞ্চলের বহু মহিলার সামনে রোজগারের পথ খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

 

কথা প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে , এই প্রকল্প এই মুহূর্তে চালু হয়নি , তবে চালু হলে – এই কাজ করতে চাইলে নিজের এলাকার পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত আপনাদেরকে জেনে নিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here