কৃষক বন্ধু প্রকল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা রাজ্য সরকারের কৃষি সেক্টরের উন্নতির লক্ষ্যে পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নথিভুক্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি দুই কিস্তি একবারে ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও কৃষক বন্ধুর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে যাতে তারা উন্নত প্রয়োজনীয় সামগ্রী, বীজ, খাদ্য, সার, প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিসম্পদ উন্নত করতে পারেন। এটি কৃষি সেক্টরের উন্নতি ও কৃষকদের আর্থিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যক্তিগত সাহায্যের মাধ্যমে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক পরিবারের অর্থনৈতিক স্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করা হয়, যাতে তারা অর্থনৈতিক সমস্যার সাম্প্রতিক চালানে উত্তরদায়ী হতে পারে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সামর্থ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রকাশ্য উপায়ে ব্যবস্থা করা হয়, তাতে তারা কৃষি উন্নতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে উন্নত স্থানে পৌঁছাতে পারে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করার শর্ত(Krishak Bandhu Prakalpa Eligibility)
জমির দলিল বা পর্চা | ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড: আবেদনকারীর ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড থাকতে হবে প্রকল্পের সুবিধা পেতে। |
নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট | কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার থাকতে হবে এবং সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আধার কার্ড সহ লিংক করা থাকতে হবে। |
মোবাইল নাম্বার | কৃষকের সক্রিয় একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে যেখানে পরবর্তীতে আপডেট চলে আসবে। |
ছবি | আবেদনকারীর সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট মাপের ছবি সাবমিট করতে হবে। |
যদি জমি না থাকে | কোনও চাষীর যদি নিজের নামে জমি না থাকে, তাহলে দলিল বা দানপত্র বা অন্যান্য নথি সঙ্গে স্বঘোষণাপত্র ও পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট জমা করেও আবেদন করতে পারবেন। |
এই শর্তাদি অনুসারে আবেদনকারীরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন এবং উক্ত সুবিধা পেতে সক্ষম হবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধাঃ–
বার্ষিক অনুদান: | কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষক সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা করে বার্ষিক অনুদান পাবে। এই অনুদান দুই কিস্তিতে প্রদান করা হয়, রবি মরশুম এবং খারিফ মরশুমে প্রদান করা হয়। |
মৃত্যু বীমা | কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকা বীমা পাবে। |
ধান বিক্রি সুবিধা | প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত কৃষকের জন্য সরকারের কাছে ভালো দামে ধান বিক্রি করার সুবিধা রয়েছে। এর জন্য কৃষকের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে epaddy.wb.gov.in ওয়েবসাইটে যেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। |
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উত্থানমূলক সহায়তা করা হয়, যাতে তারা কৃষি উন্নতি করতে পারে এবং তাদের আর্থিক স্থিতি উন্নত করা যায়।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প আবেদন পদ্ধতি (Krishak Bandhu Prakalpa Form Fill Up)
সবথেকে প্রথমে কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্প ফর্মটি নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে হবে |
সবার জন্য ফর্ম পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংগ্রহ করতে হবে যেমনঃ ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, কৃষকের নিজস্ব জমির দলিল বা পর্চা, প্রমাণপত্র, তোলা পাসপোর্ট মাপের ছবি ইত্যাদি। সমস্ত ডকুমেন্টগুলি ফর্মের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে। |
ফর্ম পূরণ শেষে এটি নিকটবর্তী কৃষি অফিসে কিংবা সরকারি ক্যাম্পে জমা করতে পারবেন। ফর্মটি কৃষি অফিস বা সরকারি ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করতেও পারবেন। |
আপনি সরকারের কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্পের সামর্থ্য, কৃষকদের উন্নত স্থিতির জন্য সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা প্রাপ্তির সুযোগ, সরকারের কাছে ভালো দামে ধান বিক্রির সুযোগ, অথবা অন্য সামর্থ্য সম্পর্কে জানতে সরকারের ওয়েবসাইটে অথবা স্থানীয় কৃষি অফিসে সন্ধান করতে পারেন ।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ডকুমেন্ট কি লাগবে?
কৃষকের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং এই অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড লিংক থাকা। |
কৃষকের ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের সমতুল্য স্থিতি। |
কৃষকের নিজস্ব জমির দলিল বা পর্চা, নিবন্ধনের নথি বা পাট্টা, বনবিভাগের পাট্টা ইত্যাদি। |
কৃষকের সক্রিয় মোবাইল নম্বর এবং স্থায়ী ঠিকানা। |
সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট মাপের ছবি। |
অন্যান্য স্থানীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, যদি প্রয়োজন হয়। |
Important Links
Application Form | Download |
Official Website | Click Here |
Whatsapp Group | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
Chakrir Khabor 24/7 App | Download |
কৃষক বন্ধু প্রকল্প FAQ
প্রশ্নঃ– কৃষক বন্ধু প্রকল্প কবে চালু হয়?
উত্তরঃ– ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কৃষি বিভাগ, সরকার। পশ্চিমবঙ্গে “কৃষকবন্ধু” প্রকল্প চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকদের কৃষি কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং কৃষকদের অকালমৃত্যুর ক্ষেত্রে খামার পরিবারগুলিকে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করা। সম্প্রতি এই স্কিমটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে এবং “কৃষক বন্ধু (নতুন)” হিসাবে পুনঃনামকরণ করা হয়েছে। নতুন প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ১৭ জুন ২০২১-এ চালু করেছিলেন।
প্রশ্নঃ– কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ– কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দুই কিস্তিতে পাঠানো হয়। রবি মরশুম ও খারিফ মরশুমে এই টাকা পাঠানো হয়।
প্রশ্নঃ- কৃষক বন্ধু প্রকল্প চেক করার নিয়ম?
উত্তরঃ– কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম উঠেছে কি না তা চেক করার জন্য। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে। এরপর নথিভূক্ত কৃষকের তথ্যে ক্লিক করে ভোটার কার্ড নাম্বার বসিয়ে দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ– কৃষক বন্ধু মৃত্যু জনিত সহায়তা কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ– কৃষক বন্ধু মৃত্যুজনিত সহায়তা (“কৃষক বন্ধু ডেথ বেনিফিট”) পাওয়ার জন্য শর্ত হলো- কৃষকের নাম কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত থাকতে হবে। পাশাপাশি ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনো কৃষক বন্ধুর মৃত্যু হলে তার পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকা পাবেন। এরজন্য নিকটবর্তী কৃষি অফিসে গিয়ে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে ডকুমেন্টস সহকারে জমা করতে হবে।