ই শ্রম কার্ড থাকলে, সবাই পাবেন ৫০০০ টাকা এবং ১৫ টি সুবিধা

0
59
E-Shram Yojana
E-Shram Yojana: বিভিন্ন অংসগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সুবিধার জন্য বিশেষ প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ৬০ বছর বয়সের পরেও সেখান থেকে পেনশন পাওয়া যায়। মেলে নানা রকম আর্থিক সুবিধা এবং সুরক্ষাও। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য জন্য আবেদন করতে হয় ই-শ্রম যোজনায় (E-Shram Yojana)। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেব, কারা কারা এখানে আবেদন করতে পারবে, কি কি ডকুমেন্ট লাগবে ইত্যাদি তথ্য।

 

ই-শ্রম যোজনা কার্ড থাকার সুবিধাঃ

১) কোন কঠিন পরিস্থিতিতে ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে সমস্ত ব্যাক্তিদের আরথিক সহযোগিতা করা হয়। যেমন জনধন অ্যাকাউন্ট-এ করোনা পরিস্থিতিতে মহিলাদের তিন মাস ৫০০ টাকা করে মোট ১৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

২) যাদের ই শ্রম কার্ড রয়েছে তাদের ফ্রিতে চাকরিমুখী ট্রেনিং, আবাস যোজনার ঘর, অষ্টম শ্রেনি পাশে চাকরি, আর্থিক সাহায্য ইত্যাদি দেওয়া হবে।

৩) ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা দেওয়া হবে।

৪)  ই শ্রম কার্ড থাকলে APY যোজনার মাধ্যমে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকার আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে।

৫) ই শ্রম কার্ড থাকলে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার মাধ্যমে এককালীন ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

৬) সরকারি চাকরির সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

৭) খরা, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সরকার দ্বারা আপনার অ্যাকাউন্ট -এ টাকা দেওয়া হবে।

৮) আপনি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে আপনি বীমা সুবিধা পাবেন।

৯) আপনার মৃত্যু হলে বা আপনি পুরোপুরি অক্ষম হলে আপনার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

 

কারা পাবেন সুবিধা ?

এই প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক (Union Minister of Labour)। ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেন। যারা আবেদন করবেন তাদের অংসগঠিত শ্রমিক হতে হবে। যারা আয়কর দেন বা EPFO এবং ESIC-র জন্য নথিভুক্ত তারা এই সুবিধা পাবেন না।

See also  সুখবর! কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের জন্য নিয়ে এলো দারুন একটি প্রকল্প। দেখে নিন কিভাবে আবেদন জানাবেন।

 

আবেদন পদ্ধতিঃ

আবেদন করতে হয় অন-লাইনে। এই জন্য একটি পোর্টাল করা হয়েছে। eshram.gov.in পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য। অনলাইনে আবেদন করতে হলে প্রথমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট -এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপরে আপনার মোবাইল নম্বরে OTP আসবে। OTP দেওয়ার পরেই রেজিস্ট্রেশন করার বাকি পদ্ধতি সম্পূর্ণ করা যাবে। সেখানে নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কোন ক্ষেত্রে কাজ করেন এই সমস্ত তথ্য দিতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়ার পরে ‘সাবমিট’ করতে হবে। তার আগেই আরেকবার দেখে নিতে হবে সব তথ্য ঠিক আছে কী না। তারপরে আপনি সেখানেই ই শ্রম কার্ড দেখে নিয়ে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করার সময়েও OTP চাইবে। সেটা দেওয়ার পরেই ডাউনলোড করা যাবে ওই কার্ড। আবেদন করার জন্য লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে। 

 

ফর্ম ফিলাপ করতে কি কি লাগবে ?

অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে নিন্মলিখিত ডকুমেন্ট গুল দিতে হবে।

  • আধার কার্ড
  • আধার কার্ড এর সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে এমন মোবাইল নম্বর
  • ব্যাঙ্ক আক্যাউন্ট

 

Important Links:

Official WebsiteVisit
Whatsapp GroupJoin Now
Telegram ChannelJoin Now
Chakrir Khabor 24/7 App
Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here