তুমি কি এখনও বেকার? চাকরি খুজছো? তাহলে তোমার জন্য রয়েছে দারুন সুখবর। ভারত সরকার দরিদ্র মেধাবী ছেলেমেয়েদের ফ্রিতে প্রশিক্ষন দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এখানে তুমি ফ্রিতে থাকা-খাওয়া পাবেন। চলো জেনে নিই, কিভাবে আবেদন করবেন? শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে? কোর্স শেষে কেমন চাকরি পাওয়া যাবে? ইত্যাদি সম্পর্কে ।
DDU-GKY প্রকল্পের উদ্দেশ্য
DDU-GKY প্রোগ্রামের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ এলাকায় বেকারদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া। তাদেরকে বিভিন্ন রকমের স্কিল ট্রেনিং করিয়ে একটি চাকরি বা ব্যাবসা করার মাধ্যমে ইনকামের পথ তৈরী করে দেওয়া ।
DDU-GKY প্রকল্পের সুবিধা?
১) স্কিল ট্রেনিং
বিভিন্ন রকমের স্কিল ট্রেনিং বিনামূল্যে করানো হয় । আবাসিক ও অনাবাসিক দুই ধরনের কোর্স করার সুবিধা রয়েছে। আবাসিক কোর্সে তোমাকে ৩ মাস বা ৬ মাসের কোর্স চলাকালীন ট্রেনিং সেন্টারে বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়া দেবে, সাথে ব্যাগ, বই, ইউনিফর্ম দেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
২) স্টাইপেন্ড ও সার্টিফিকেট
এই কোর্স শেষে তুমি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি সার্টিফিকেট পাবে, এবং কিছু স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে।
৩) চাকরির ব্যবস্থা
ট্রেনিং সম্পূর্ণ হলে, চাকরি দেবার ব্যবস্থা করে দেয় নির্দিষ্ট ট্রেনিং সংস্থা । বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট কোম্পানির সাথে চুক্তি করে, প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরিরর ব্যবস্থা করে দেয়।
৪) চাকরির পরবর্তী সাপোর্ট প্রদান
প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রার্থী চাকরির পাবার পর, কোনো কারনে চাকরি চলে গেলে, তাকে পুনরায় নতুন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ সেট করিয়ে, আবার নতুন চাকরিতে জয়েনিং দেবার ব্যবস্থা করে দেয়।
৫) বিজনেসে সাহায্য
কোনো প্রার্থী যদি চাকরি না করে, তাহলে সে এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখে নিজের ব্যবসা খুলতে পারে।
DDU GKY প্রকল্পে কি কি কোর্স শেখানো হয়?
এই প্রকল্পে ৩৩টি আলাদা আলাদা সেক্টরে ৫৫০টিরও বেশি কোর্সে ট্রেনিং করানো হয়। http://ddugky.gov.in/industrylist এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুমি প্রত্যেকটি সেক্টরের কোর্স গুলি চেক করে নিতে পারেন। চাকরির বাজারে ডিমান্ডিং কিছু কোর্সের নাম তোমাকে সাজেস্ট করছি, এই সমস্ত কোর্সের মধ্যে যেকোন একটি কোর্সে তুমি ট্রেনিং করে চাকরি পেতে পারেন।
- Back-Office professional
- Retail Sales Associate
- Hospitality Assistant
- Data Entry Operator
- Medical Laboratory Technician
- Solar Panel Installation Technician
- Beauty and Wellness Therapist
- Construction Electrician
- Technician
- Mobile Repairing
DDU GKY প্রকল্পের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
নাগরিকতা- পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের যেকোন নাগরিক(ছেলে ও মেয়ে সবাই) এখানে আবেদন করতে পারবেন।
বয়স- নূন্যতম ১৫ বছর থেকে সর্বচ্চ ৩৫ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। মহিলা প্রার্থী, শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থী বয়সের উর্ধসীমায় ছাড় পাবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা- তুমি কি কোর্সের উপর ট্রেনিং নেবে তার উপরে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ভর করে। এখানে এমন কিছু কোর্স আছে যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রয়োজন নেই, নাম সই করতে জানলেই হবে। তবে মাধ্যমিক, ও উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতা থাকলে ভালো কোর্সে ভর্তি হতে পারবে।
কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
Proof of Identity and Age
- Aadhaar Card or Election ID Card,
- Birth Certificate
Proof of Eligibility
- BPL Card of self or your household,
- MGNREGA Worker (Job) Card
- Rashtriya Swasthya Bima Yojana (RSBY) card
- Antyodaya Anna Yojana (AAY) or BPL PDS card
- NRLM-Self Help Group identification or certificate
(এর মধ্যে যেকোন একটি ডকুমেন্ট হলেই হবে)
Proof if claiming reservation or relaxation in age limit:
- SC/ST Certificate
- Disability Certificate
এই প্রকল্পে ফ্রি কি কি সুবিধা পাবে?
- Aadhaar Card or similar bio-metric Identification Card
- A Bank Account in your name
- Completely free food and accommodation in a residential training program
- Reimbursement of to & fro and meal cost, transferred directly to your bank account
- Free uniform, books and learning material
- Free access to a computer at the computer lab with working internet, one computer per person
- Free access to a tablet PC at the training centre to use and learn.
- DDU-GKY Skill Training Certificate from NCVT or SSC upon successful completion of the training program.
- Job Interviews and placement opportunities at no cost. And a job with a minimum salary of Rs. 6,000/- per month.
ট্রেনিং সেন্টার কোথায় আছে?
ভারতের সব বড় বড় শহরে ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। তুমি তোমার নিজের জেলার কাছের শহরে ট্রেনিং সেন্টার পেয়ে যাবে। https://kaushalpanjee.nic.in/ddugky/ – এই লিঙ্কে ক্লিক করে, তোমার রাজ্য ও জেলার নাম বসিয়ে, ট্রেনিং সেন্টার খুজে নাও। এখানে ট্রেনিং সেন্টারের ঠিকানা, ফোন নম্বর, এবং কি ধরনের ট্রেনিং করানো হয় সব কিছু জানতে পারবে।
কিভাবে আবেদন করবে?
এখানে তুমি অফলাইন ও অনলাইন দুইভাবেই আবেদন করতে পারবে।
অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে, নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে ফর্ম ফিলাপ করো।
অফলাইনে আবেদন করা সবচেয়ে ভালো, কারন অনলাইনে আবেদন করলে বেশিরভাগ সময় রিপ্লাই আসে না। প্রথমে তুমি তোমার লোকেশনে ট্রেনিং সেন্টার কোথায় আছে সেটা খুজে বের করো, উপরের লিঙ্ক থেকে। তারপরে সেই ট্রেনিং সেন্টার নিজে ভিজিট করো, এবং দেখে আসুন ট্রেনিং সেন্টারটি কেমন? সেখানে বর্তমানে কি কোর্সে ভর্তি চলছে? প্লেসমেন্ট দেয় কিনা সেই ট্রেনিং সেন্টার?আবাসিক না অনাবাসিক? ক্লাসরুম কেমন? হোস্টেল বা মেস কেমন?
এই সব কিছু দেখে এসে তারপরে আবেদন করো। তোমার মনের মতো কোর্স সব ট্রেনিং সেন্টারে নাও থাকতে পারে, বা সব ট্রেনিং সেন্টারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে তোমাকে এই ট্রেনিং সেন্টার খুজে বের করতে হবে।
লেখকের ব্যক্তিগত মতামত
১) এখান থেকে কোর্স করে তুমি যদি পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে চাকরি করতে চাও, তাহলে কলকাতায় বেশিরভাগ চাকরির পোষ্টিং হবে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক স্যালারি থাকবে ৮/৯হাজার/- টাকা থেকে সর্বচ্চ ১৫/১৬হাজার পর্যন্ত। এবার যাদের বাড়ি দূরে, তাদের স্যালারি যদি কম হয়, কলকাতার মত জায়গায় ঘর ভাড়া, খাওয়া, ইলেক্ট্রিক বিল, যাতায়ত খরচ বাদ দিয়ে, হাতে খুব কম টাকাই বাচবে। তাদের জন্য উপায় হল কলকাতার বাইরে গিয়ে চাকরি করা, যেমন ব্যাঙ্গালোর বা নয়ডা, সেখানে তুলনামূলক স্যালারি বেশি।
যাদের বাড়ি কলকাতার আশে-পাশে, বা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে চাকরি করতে পারবে, তারা কলকাতায় চাকরি করতে পারো, কারন তাদের ঘর ভাড়া, খাওয়া, ইলেক্ট্রিক বিল ও আনুসাঙ্গিক খরচ হবেনা।
২) এক কোম্পানিতে বেশিদিন কাজ করবে না, ৬ মাস বা ১ বছর চাকরি করলে, তারপর সেই কোম্পানিতে থেকে এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য কোম্পানিতে জয়েনিং করো, তাহলে এক্সপেরিয়েন্সের ভ্যালু-র জন্য তোমার স্যালারি ও কোম্পানির পোষ্ট ভালো(দামি) থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকস :
Search Training Center | Click Here |
Apply link | Click Here |
Whatsapp Group | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
Chakrir Khabor 24/7 App | Download |
কোনোপ্রকার হেল্প প্রয়োজন হলে, বা এইরকম আরও আপডেট পেতে, আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন- Join Now