Anganwadi Recruitment 2023: রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শূন্যপদ পূরণের তোড়জোড় শুরু করে দিল সরকার। কর্মী ও সহায়িকা মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার পদে নিয়োগ হবে। জেলাস্তর থেকে হবে চূড়ান্ত নিয়োগ। এর জন্য বেশিরভাগ জেলায় রয়েছে ‘সিলেকশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’। তবে মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তা ছিল না। দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য এই পাঁচ জেলায়ও কমিটি গঠন করা হয়েছে সম্প্রতি। ওই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের চেয়ারপার্সন এবং বিধায়কদের ভাইস চেয়ারপার্সন ও মেম্বার কনভেনর করা হয়েছে। মালদহে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, পূর্ব মেদিনীপুরে কারামন্ত্রী অখিল গিরি এবং পশ্চিম বর্ধমানে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন হয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আইনি জটিলতার কারণে এই পাঁচ জেলায় সিলেকশন কমিটি ছিল না। রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে কর্মী ও সহায়িকা থাকেন। সেই হিসেবে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী ও ২১ হাজার সহায়িকার পদ শূন্য রয়েছে। এই শূন্যপদগুলি ধাপে ধাপে পূরণ করার লক্ষ্যে এগচ্ছে রাজ্য। বুধবার রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। কারণ, রাজ্য সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শূন্যপদ পূরণ করতে চায়। তবে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মে কেন্দ্র কিছু বদল এনেছে। সেই বদলগুলি জনবিরোধী বলে মনে করছি আমরা। তাই আগের নিয়মই বলবৎ রাখার দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রকে। কিন্তু ওরা এখনও কোনও উত্তর দেয়নি। কেন্দ্রের উচিত, দ্রুত বিষয়টি জানানো, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও সমস্যা না হয়।’
প্রসঙ্গত, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাওয়ার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করেছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কর্মী ও সহায়িকা—উভয় পদের জন্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক করা হয়েছে। আগে সহায়িকাদের জন্য অষ্টম শ্রেণি এবং কর্মীদের জন্য মাধ্যমিক পাশ আবশ্যিক ছিল। কেন্দ্রের নয়া নিয়মে বহু প্রান্তিক মানুষ কাজ পাওয়ার সুযোগ হারাবেন বলে আশঙ্কা রাজ্য সরকারের।