চাকরির খবর ২৪৭ঃ প্রধান লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকার মানুষের স্বনির্ভরতা। পাশাপাশি, টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে গ্রামে বসেই কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়ের চিকিৎসকদের দেখানোর সুযোগ, বাড়িতে ৩৪ রকমের পরীক্ষা সহ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ অন্যান্য পরিষেবারও সুযোগ।
এক ছাদের তলায় এই ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে চালু হতে চলেছে ‘জীবন হাব’। রাজ্য সরকারের ‘তত্ত্বাবধানে’ একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে চলবে এই ‘জীবন হাব’। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বুধবার খড়দহের বিলকান্দা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের লেনিনগড়ে তারই সূচনা হল। রাজ্যের এমএসএমই দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এই পাইলট প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন।
জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার পুরুষ ও মহিলারা এই হাবের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পারবেন। জীবন হাবে নানা ধরনের ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ব্যবসা করতে যা যা প্রয়োজন, সেই সাহায্যও দেওয়া হবে। যেমন, অনুমতি, ব্যবসার জন্য ঋণ, ব্যবসার জায়গা, যন্ত্রপাতি, প্রয়োজনীয় উপাদান প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হবে। ব্যবসার জন্য দেওয়া হবে প্রশিক্ষণও। শুধু তাই, উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করতেও সহায়তা করা হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। অভাব রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবারও। তাই এই জীবন হাবে টেলি মেডিসিনেরও ব্যবস্থা থাকবে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়ের নামী চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, এই হাব থেকে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হবে। এক-একটি হাবের সঙ্গে প্রায় ৫০ জন মহিলা যুক্ত থাকবেন। যাঁরা ‘স্বাস্থ্য সখী’ হিসেবে গ্রামের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন স্বাস্থ্য পরিষেবা। তাঁদের মাধ্যমে বাড়িতে বসে ৩৪ রকমের পরীক্ষা করানো যাবে। রিপোর্ট মিলবে তাড়াতাড়ি। হাবেও পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। এমনকী, হাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও থাকবেন। হাবে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য সখীরাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দেবেন। এখানেই শেষ নয়, জীবন হাবে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান খোলা হবে। সাধারণ মানুষ নিজের এলাকায় সস্তায় সব ধরনের ওষুধ কিনতে পারেন। তবে, যেহেতু বেসরকারি সংস্থার অধীনে থাকবে এই হাব, তাই পরিষেবার বিনিময়ে অল্প ফি দিতে হবে।
এছাড়াও, এই হাবে বিমা, ক্ষুদ্র ঋণ, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা সহ বেশ কিছু পরিষেবা পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে এখানে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি প্যাড তৈরির ইউনিটও থাকবে। গ্রামীণ এলাকার গরিব মানুষ সেখানে গিয়ে কম দামে সংগ্রহ করতে পারেন।
যে সংস্থার অধীনে এই জীবন হাব চলবে, তাদের দাবি, এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার মানুষ জীবন-জীবিকার সন্ধান পাবেন। সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। বিলকান্দার পর দ্বিতীয় জীবন হাব চালু হবে সিউড়ির হাটজন বাজার এলাকায়।
Tags:- jeevan hub,jeevan hub online apply,how to apply jeevan hub prakalpa,jeevan hub application form,jeevan hub application online,jeevan hub apply,রাজ্যের ৩৫ হাজার মানুষকে কাজ দেবে জীবন হাব,jeevan hub prakalpa apply online 2022,জীবন হাব,জীবন হাব কি,জীবন হাব প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবো,জীবন হাব আবেদন পদ্ধতি,কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে শুরু হচ্ছে জীবন হাব,কর্মদিশা প্রকল্পে ফর্ম ফিলাপ,jibon hab apply,jibon hab apply online.