পরিবার এবং নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে বিমার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু গরীব মানুষের কাছে এত টাকার পরিমাণ কোথায়। তাই তাদের কথা ভেবেই কেন্দ্র নিয়ে এসেছে নয়া প্রকল্প। যার জেরে উপকৃত হবে শ্রমিকরা। করোনার প্রভাবে যাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল তারা হল শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা। যারা দিন আনা দিন খাওয়া করে জীবন গুজরান করেন। এবার তাদের পাশে কেন্দ্র। তাদের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প গুলি আনা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল এটি।
২ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প আনা হয়েছে কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের তরফ থেকে। এই প্রকল্পে পেয়ে যাবেন ২ লক্ষ টাকার বিমা। তবে তার জন্য রয়েছে শর্তাবলী। এক প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে সেই শ্রমিকের মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার কম। যে কোনও শারীরিক অসুস্থতা দুর্ঘটনার চিকিৎসার সময় পেয়ে যাবেন ২ লক্ষ টাকার এই বীমা। এই প্রকল্পের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ই-শ্রম পোর্টালে। এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশন করলেই আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পেও একই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে যাবে শ্রমিকদের।
www.eshram.gov.in এই ওয়েব সাইটে গিয়ে শ্রমিকরা তাদের আধার নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। তবে আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকলে এই কাজ অনেক সুবিধা হবে। পাশাপাশি যাদের আধার কার্ডের সঙ্গে ফোন নম্বর যুক্ত নেই তারা নিকটবর্তী সিএসসি সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে প্রমাণপত্র দিয়ে ওয়েব সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই পোর্টালে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন প্রায় ১ কোটি শ্রমিক। জানিয়ে রাখি সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রায় ৩৮ কোটি শ্রমিক রয়েছেন যারা কোন না কোনভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। সরকারের লক্ষ্য, এই সমস্ত শ্রমিকদের নাম ই শ্রম পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা।
এই দুর্ঘটনা বীমায় কি কি সুবিধা পাবেন গ্রাহকরাঃ
★জানিয়ে রাখি ই-শ্রম পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করলে দু লক্ষ টাকা অব্দি দুর্ঘটনা বীমা কভারেজ দেয় সরকার। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনায় মারা যান, তার নমিনিকেও সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া কোন ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনায় দুটি চোখ, দুটি হাত বা দুটি পা হারিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রেও তিনি দু লক্ষ টাকা পাবেন। কোন ব্যক্তির যদি দুর্ঘটনা জেরে একটি চোখ বা একটি পা বা একটি হাত নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা কাভারেজ দেওয়া হবে।
★সবথেকে বড় সুবিধা হল, নাম অন্তর্ভুক্ত হবার পর প্রথম বছরে বীমার প্রিমিয়াম দেওয়ার দায়িত্ব পুরোটাই পালন করে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে এর প্রিমিয়ামও অত্যন্ত কম। এর জন্য মাত্র বার্ষিক ১২ টাকা দিতে হয় গ্রাহককে।
★সরকারের এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়া অত্যন্ত সহজ। এর জন্য আপনার শুধুমাত্র একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেখান থেকেই আপনি এই প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যে কোন সাধারণ সেবা কেন্দ্র থেকে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এর বাইরে, রাজ্য সরকারের আঞ্চলিক অফিসেও নিবন্ধন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আয়ের ভিত্তিতে কোন মানদন্ড নেই।