চাকরির খবর ২৪৭ঃ আপনারা যারা ই-শ্রম কার্ড বানিয়েছেন এবং এখন চাইছেন এই কার্ডটি ডিলিট করতে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ পড়ুন। আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কি করে আপনি আপনার ফোন থেকে বিনামূল্যে আপনার ই-শ্রম কার্ডটি সম্পূর্ণ ভাবে ডিলিট করতে পারেন। এছাড়া ডিলিট কেন করবেন এবং কাদের এই সিম কার্ড ডিলিট করা উচিত সেটাও বলবো।
কাদের এই ই-শ্রম কার্ড ডিলিট করা উচিত?
১) যারা চাকরি করেন এবং ই-শ্রম কার্ড করেছেন তাদের এই কাটটা ডিলিট করা উচিত,
২) যে সমস্ত স্টুডেন্ট পড়াশোনা করছেন বা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা যদি এই ই-শ্রম কার্ড করে থাকেন তবে তাদের এই কার্ড টা ডিলিট করে দেয়া উচিত।
৩) এছাড়া যারা অসংগঠিত শ্রেণীর শ্রমিক নন তাদেরও কিন্তু এই কার্ড টা ডিলিট করে দেয়া উচিত।
কেন আপনারা এই কার্ডটা ডিলিট করবেন?
আপনি আগে বুঝুন ই-শ্রম কার্ড কেন করবেন, সেই কারণটা বুঝুন এবং কাদের জন্য এই কার্ডটা সেটাও জানুন।
ভারতবর্ষের যে সমস্ত অসংগঠিত শ্রেণীর শ্রমিক রয়েছেন, যেমন যারা ইট ভাটায় কাজ করেন, যারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, যারা পাকা রাস্তা বানানোর কাজ করেন । সেই সমস্ত শ্রমিকদের জন্য এই কার্ড বানানো হয়েছে । তাদেরকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার জন্য এবং তাদের ডাটা বা তথ্য সরকারের কাছে থাকার জন্য এই কার্ড তৈরি করা হয়েছে।
এই কার্ডে যে সমস্ত সুবিধা বা লাভ আপনারা পাবেন সেগুলো এই ই-শ্রম কার্ড না থাকলেও কিন্তু আপনারা পাবেন । যেমন কি পেনশন সেটা আপনারা এই কার্ড না থাকলেও পেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা রয়েছে, এছাড়া বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দেওয়া হবে। এই সমস্ত সুবিধা আপনারা যদি ই-শ্রম কার্ড নাও থাকে তবুও আপনি পাবেন।
তো যারা চাকরি করেন, এবং তার সঙ্গে যারা নিজের ব্যবসা করে্ অথবা ভালো কোন কাজ করেন, বা যারা ছাত্র-ছাত্রী তাদের কিন্তু ভবিষ্যতে অনেক সুযোগ রয়েছে তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করার তাই এই কার্ড করে আপনাদের কোন লাভ হবে না। বা রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার আপনাকে কোন প্রকার ভাতা বা টাকাও দেবে না, এই কার্ড করার জন্য । তাই এই কার্ড করে আপাতত আপনার কোন লাভ নেই। এই কার্ড করা মানে আপনি নিজে একজন লেবার সেটাই কিন্তু প্রমাণ করছেন কেন্দ্র সরকারের কাছে। তাই যে একজন ছাত্র বা ছাত্রী, বা কেউ ব্যবসা করছে self-employed, বা কেউ চাকরি করছেন গভঃ এমপ্লয় সে কেন নিজেকে লেবার বলে পরিচয় দেবে রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারের কাছে। তাই আপনার উচিত এই কার্ডটি ডিলিট করে দেওয়া।
এই কার্ড আপনি কিভাবে ডিলিট করবেন?
১) এর জন্য আপনাকে ই-শ্রম কার্ডের https://eshram.gov.in/ অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে,
২) এই ওয়েবসাইটে ডান সাইডে দেখবেন ‘Update’ বলে একটা অপশন আছে আপনাকে সেখানে ক্লিক করতে হবে,
৩) এরপরে আপনার ই-শ্রম কার্ডের নাম্বার ও জন্মতারিখ অথবা আধার নাম্বার দিয়ে আপনি আগে লগ-ইন করে নিন এই পেজে,
৪) এবং তারপরে আপনার সামনে একটা পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনার বিষয়ে কিছু তথ্য থাকবে । এবং নিচে দেখবেন দুটো অপশন রয়েছে চেকবক্স ক্লিক করার,
৫) একদম লাস্টের চেকবক্স ‘Revoke Aadhaar consent Click here to read consent form’ এই চেকবক্সে আপনি ক্লিক করবেন,
৬) চেক বক্সে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে লাল কালিতে ‘I do not want to be part of eShram. Revoke my Aadhaar consent given earlier.‘ সেন্টেন্স এই বাক্যটা লেখা আসবে, যার মানে হচ্ছে আপনি আর ই-শ্রম কার্ডে অংশগ্রহণ করতে চান না এবং আপনার আধার কার্ডের অথেন্টিকেশন আপনি ই-শ্রম কার্ড থেকে রিমুভ করে নিতে চাইছেন। এই চেক বক্সে ক্লিক করার পরে ”Update E-kyc Information” এই অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ই-শ্রম কার্ডটি সম্পূর্ণভাবে ডিলিট হয়ে যাবে।
আমরা কি এই ই-শ্রম কার্ড ডিলিট করার পরে আবার বানাতে পারব?
হ্যাঁ পারবেন। আপনি যদি বর্তমানে আপনার ই-শ্রম কার্ডটি ডিলিট করে দেন এবং ভবিষ্যতে কখনো যদি আপনার ই-শ্রম কার্ডের প্রয়োজন হয় । তাহলে আবার আপনি যেভাবে প্রথমবার অনলাইনে আবেদন করেছিলেন, সেভাবে আপনি আপনার আধার নাম্বার দিয়ে ই-শ্রম কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন ।
বিদ্রঃ আমাদের এই পেজ থেকে ভিডিও বানালে, পেজের লিঙ্ক ডেস্ক্রিপশন বক্সে দিতে হবে। পেজের কোন তথ্য কপি/পেস্ট করে চালানো যাবে না। এর অন্যথা হলে, কপিরাইট এবং লিগাল অ্যাকশন নেওয়া হবে। নিজে ক্রিয়েটর হয়ে, ক্রিয়েটর কে সন্মান করুন, সন্মাম নিন।
Tags: How to delete e shram card? e shram card cancellation form, how to delete e shram card account, e shram card delete kivabe korbo?. E Shram card delete in bengali, E Shram Card delete online 2022, Eshram card delete chakrir khabor 247.