চাকরির খবর ২৪৭ঃ ই-রেশন কার্ড আসলে একটি পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) যা রেশন সামগ্রীর বিশদ বিবরণ সনাক্ত করতে সুবিধাভোগীকে সহায়তা করে। ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সাবসিস্টেম (EPDS) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এটি অনলাইনে পাওয়া যেতে পারে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই সুবিধা দিয়ে থাকে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রথম নতুন দিল্লিতে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। পরে অন্য রাজ্যও এই পদ্ধতি গ্রহণ করে।
ই-রেশন কার্ড পরিষেবার উদ্দেশ্য :
রেশন কার্ড বিতরণ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করাই এই ই-রেশন কার্ডের মূল লক্ষ্য। নির্ধারিত নির্দেশ মেনে প্রতিটি দরিদ্র যাতে খাদ্য নিরাপত্তা পায় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই পরিষেবা।
ই-রেশন পরিষেবা পাওয়ার পদ্ধতি:
খাদ্য সরবরাহ দফতর এবং উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ই-রেশন কার্ড পরিষেবা পাওয়া যেতে পারে।
যোগ্যতা:
যে সমস্ত সুবিধাভোগী তাঁদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর এবং নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করেছেন তাঁরা ই-রেশন কার্ড পেতে পারেন।
ই-রেশন কার্ডের মূল বৈশিষ্ট্য:
ডিজিটাল রেশন কার্ড-এ যে সব সুবিধা পাওয়া যায় ই-রেশন কার্ডেও সেই সব সুবিধা পাওয়া যায় ।
যে কোনও প্রয়োজনে ডিজিটাল রেশন কার্ডের মতোই ই-রেশন কার্ডও গ্রহণ করা হয়।
উৎকলিত QR কোডের মাধ্যমে যে কেউ যে কোনও সময় অনলাইনে ই-রেশন কার্ড যাচাই করতে নিতে পারেন। ই-রেশন কার্ড-এর নম্বর দিয়ে বিভাগের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও এটি যাচাই করা যেতে পারে।
ই-রেশন কার্ডধারী যে কোনও ব্যক্তি ওয়েবসাইট থেকে তাঁর ই-রেশন কার্ডের একটি কপি ডাউনলোড করতে পারেন।
কার্ডের অনুমোদন পাওয়া হয়ে গেলে উপভোক্তা পরবর্তী কার্যদিবস থেকেই রেশন দোকানে গিয়ে খাদ্যশস্য নিতে পারেন।
রেশনের দোকান থেকে খাদ্যশস্য পেতে গেলে ই-রেশন কার্ড ধারককে তার ডিজিটাল রেশন কার্ড বহন করতে হয় না।
চাইলে ই-রেশন কার্ডের একটি হার্ড কপি নিয়ে যাওয়া যায় অথবা, মোবাইল ফোনে সফট কপি ই-রেশন কার্ড দেখালেও কাজ হয়ে যায়।
ই-রেশন কার্ডের সুবিধা:
রেশন আটকে রাখার দুর্নীতির বন্ধ করার জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। দরিদ্রদের কাছে কোনও বাধা ছাড়াই সময় মতো রেশন পৌঁছে দেওয়া এর লক্ষ্য।
অনলাইনে রেশন কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি:
কয়েকটি ধাপে অনলাইনে রেশন কার্ড ডাউনলোড করে ফেলা যায়—
১. রাজ্যের নিজস্ব পিডিএস অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – nfsa.gov.in –এ যেতে হবে, এখানেই রেশন কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। এ গুলি সমস্ত রাজ্যের জন্য আলাদা।
২. ওয়েবসাইটের হোমপেজে রেশন কার্ড সম্পর্কিত পরিষেবাগুলি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
৩. প্রতিটি পরিষেবা হোমপেজে সেই বিভাগে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
৪. তালিকাভুক্ত বিষয়বস্তু থেকে ‘প্রিন্ট রেশন কার্ড’-এ ক্লিক করতে হবে।
৫. নিচের পৃষ্ঠাগুলিতে দেখানো খালি কলামগুলিতে বিশদ বিবরণ লিখতে হবে।
৬. পুরানো রেশন কার্ডের নম্বর বা আবেদন নম্বরের বিবরণ জানাতে হবে খালি জায়গায়।
৭. এই সমস্ত বিশদ পিডিএস কর্তৃপক্ষ যাচাই করবেন। তারপর রেশন কার্ড পুনঃনির্দেশিত করা হবে।
৮) পরবর্তী পেজে রেশন কার্ডটি দেখানো হবে।
অনলাইনে রেশন কার্ডের স্টেটাস যাচাই করার পদ্ধতি:
১. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুলতে হবে।
২. ‘চেক অ্যাপ্লিকেশন স্টেটাস’ নির্বাচন করতে হবে।
৩. অ্যাপ্লিকেশন নম্বর লিখতে হবে।
৪. রেশন কার্ডের আবেদন করার পর তা কী পর্যায়ে রয়েছে তা জানা যাবে।
৫. এ বার রেশন কার্ডের বিশদ নির্বাচন করতে হবে।
৬. রেশন কার্ড নম্বর লিখতে হবে।
৭. রেশন কার্ডের স্টেটাস পরীক্ষা করা যাবে।
আমাদের দেশে কোনও সরকারি নথি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কাজ ত্বরাণ্বিত করা সরকারের লক্ষ্য। তাই আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত কাজ হয়ে যাওয়ার কথা। সমস্ত বিবরণ সরকারি আধিকারিকরা যাচাই করে এবং নিশ্চিত হওয়ার পরে, রেশন কার্ড তৈরি করা হয়। আবেদনকারীর বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে তা জারি করা হয়।
তবে এই কার্ড পাওয়ার জন্য উপভোক্তাকে বেশ কিছু তথ্য জানাতে হবে সরকারকে। সে জন্য প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিতে হবে। রেশন কার্ড তৈরির জন্য প্যান কার্ড, আধার কার্ডের নম্বর, প্রত্যয়িত নকল, উপভোক্তার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা করা অতি আবশ্যক।